Skip to main content

stdio.h বা হেডার ফাইল কী এবং কেন? /conio.hকী? কেন? কখন?

প্রথমে stdio.h নিয়ে কিছু কথা, 

stdio এর মানে হলো Standard input and output । এটি সি (C)এর একটি স্ট্যান্ডাড লাইব্রেরি যাতে ইনপুট ও অউটপুট ফাংশন গুলা বর্ণিত আছে।যেমন sacnf(),printf())। এই সকল ইনপুট ও অউটপুট ফাংশন প্রোগ্রামে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে প্রোগ্রামে এদের লাইব্রেরি হেডার ফাইলের নাম সংযোগ করতে হয়। যেমন , scanf(), printf() এই ফাংশন প্রোগ্রামে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে প্রোগ্রামর শুরুতে এদের লাইব্রেরি হেডার ফাইলের নাম stdio.h কে প্রসেসর ডিরাইভেটিভ # (হ্যাশ) দ্ধারা লিংক সেকশনে সংযোগ করতে হয় । stdio.h সংযোগ না করে scanf(), printf() ...ব্যবহার করলে প্রোগ্রামে error দেখাবে। তাই যেকোনো লাইব্রেরি ফাংশন ব্যবহার করলে তাদের হেডার ফাইলের নাম সংযোগ করতেই হবে।

✅[2020] C Programming & Tutorial For Beginners android / iphone ...

C programming এর আদি কম্পাইলার হচ্ছে "Turbo C".

Borland সর্বপ্রথম ১৯৮৭ সালে পরিচয় করিয়ে দেন প্রথম সি প্রোগ্রামিং ভাষার Integrated Development Environment and compiler "Turbo C".এর সাথে।  

conio.h সি স্ট্যান্ডাড লাইব্রেরির কোন অংশ নয়। এটি একটি হেডার ফাইল ,যার মধ্যে getch(),clrscr() ...ইত্যাদি কিছু ফাংশন ।

clrscr(): এই ফাংশনটি আউটপুট স্ক্রিন পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করা হয়। getch():এই ফাংশনটি কীবোর্ড থেকে একটি একক বর্ণ পেতে ব্যবহার করা হয়।

Turbo C এর পরিবেশ এমন যে তাতে প্রোগ্রাম রান করার ক্ষেত্রে আউটপুট প্রকাশের আগে পূর্বের অউটপুট বাদ তথা স্ক্রিন পরিষ্কার করার প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে clrscr() নামক ফাংশন ব্যবহার করা হয় এবং অউটপুট তথক্ষন প্রদর্শন করবে যতক্ষণ না পর্যন্ত পরবর্তী কোন বর্ণ/বাটন কীবোর্ড থেকে প্রেস করা । আর এই বর্ণ catch করার জন্য getch() নামক ফাংশন ব্যবহার করা হয়। আর এই ফাংশন গুলো বর্ণিত আছে conio.h নামক লাইব্রেরিতে । তাই Turbo C ব্যবহার করে প্রোগ্রামিংএর ক্ষেত্রে stdio.h এর সাথে conio.h ও লিখতে হয়।

তবে বর্তমানে কম্পাইলার উন্নয়নের ফলে, এখনকার IDE(code blocks, dev c++,মোবাইলের জন্য c4droid, Coding C ইত্যাদি) তে  Turbo C এর মত জামেলা পোহাতে হয়না। এক কথায় getch() ,clrscr() ইত্যাদি ফাংশনের ব্যবহার প্রয়োজন হয় না তথা conio.h না লিখলেই চলে। তার মানে conio.h এর ব্যবহার নাই বললেই হয়। 



পরীক্ষায় লিখব ? নাকি লিখবনা?

বর্তমানে যেসকল ICT শিক্ষকরা রয়েছেন তার বেশিরভাগ নন সি এস সি (কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং)। ব্যবসা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষকদের ICT পড়াতে দেখা যায়। তাদের অনেকেই এই বিষয়টা জানেন না। তাই তারা বই এ যা আছে তাই সঠিক বলে মনে করেন । উল্লেখ্য যে জনপ্রিয় লেখক প্রকৌশলী মাহাবুবুর রাহমান ও মুজিবুর রাহমান যে সময়ে এই বই গুলো লিখেন তখন Turbo C ব্যবহার জনপ্রিয় ছিল। তাই বইয়ে কোডগুলো Turbo C এর আদলে লেখা।  আর বর্তমান লেখকরা ঐ বই গুলা কপি করেন but এডিট করেন না। আর তারা খাতা দেখার ক্ষেত্রে বই ফলো করেন।

অতএব ঐ সকল  শিক্ষকদের জন্য সমবেদনা ছাড়া আর কিছু করার নাই। তাই পরীক্ষার খাতায় ঐ সকল শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য c program এ conio.h লিখতে পার (এক্ষেত্রে clrscr() ও getch() ব্যবহার করতে হবে )। তবে না লিখলে কোন সমস্যা নাই।

তবে বেশিদিন আর এই সমস্যা থাকবে না। ৩৮ বিসিএস থেকে আইসিটিতে অনেক দক্ষ ব্যাক্তি  শিক্ষকতার এই মহান পেশায় যুক্ত হতে চলেছেন।
ধন্যবাদ!

Comments

Popular posts from this blog

আইসিটি বইয়ের বুলিয়ান আলজেব্রা আবিষ্কার সাল জটিলতা

  এইচ এস সি আইসিটি বইয়ের বুলিয়ান আলজেব্রা আবিষ্কার সাল জটিলতা  শুরুতেই জর্জ বুলি সম্পর্কে কিছু কথা  জর্জ বুল (ইংরেজি: George Boole) (২রা নভেম্বর, ১৮১৫—৮ই ডিসেম্বর, ১৮৬৪) ছিলেন , একজন ব্রিটিশ গণিতবিদ ও দার্শনিক যাকে গাণিতিক যুক্তিবিজ্ঞানের (mathematical logic) জনকদের একজন হিসাবে গণ্য করা হয়। ১৮৫৪ সালে তার প্রধান কাজ Investigation of the Laws of Thought বের হয়। তিনি যে প্রকার প্রতীকী যুক্তিবিজ্ঞান নির্মাণ করেন, তার উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে বুলিয়ান বীজগণিতের গবেষণা শুরু হয়। বর্তমান সময়ের কম্পিউটিং এবং বীজগণিতে এই বুলিয়ান বীজগণিতের গুরুত্ব রয়েছে। বুল, ডি মরগান এবং অন্যান্যদের কাজ আধুনিক বিধিগত বীজগণিতের নির্মাণে সাহায্যকারী ভূমিকা রাখে। প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান স্যারের বইয়ে লিখা আছে জর্জ বুলি সর্বপ্রথম ১৮৪৭ সালে বুলিয়ান আলজেব্রা নিয়ে আলোচনা করেন। ( রেফেরেন্সঃ প্রথম প্রকাশনী - ১ জুলাই , ২০১৩ ইং ও পুনঃমুদ্রন ১ জানুয়ারী ২০১৪ এর ১২৯ পৃষ্টায় আছে ) অক্ষর পত্র প্রকাশনীর বইয়ে আছে ১৮৫৪ সাল জর্জ বুলি প্রতীকী যুক্তি নামে এই বীজগণিত আলোচনা করেন। আবার

হ্যাকিং ও সাইবার আক্রমন

    হ্যাকিং ·          হ্যাকিং একটি প্রক্রিয়া যেখানে কেউ কোন বৈধ অনুমতি ছাড়া কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে । ·          যারা এ হ্যাকিং করে তারা হচ্ছে হ্যাকার ।   হ্যাকাররা সাধারনত এসব ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের ত্রুটি বের করে তা দিয়েই হ্যাক করে । ·          যে ব্যাক্তি হ্যাকিং practice করে তাকেই হ্যাকার বলে । ·          ফোন হ্যকার দের বলা হত Phreaker এবং এ প্রক্রিয়া কে বলা হয় Phreaking । ü   তিন প্রকারের হ্যকার রয়েছেঃ I.      White hat hacker II.     Grey hat hacker III.   Black hat hacker White hat hacker: White hat hacker   হ্যাকাররাই তার প্রমান করে যে হ্যাকিং খারাপ কাজ না । যেমন একজন white hat hacker   একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটি গুলো বের করে এবং ঐ সিকিউরিটি সিস্টেমের মালিকে ত্রুটি দ্রুত জানায় । সিকিউরিটি সিস্টেমটি হতে পারে একটি কম্পিউটার , একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কে্ ‌ একটি ওয়েব সাইট , একটি সফটওয়্যার ইত্যাদি । Grey hat hacker: Grey hat hacker হচ্ছে দু মুখো সাপ । এরা যখন একটি একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটি গুলো বের করে তখন সে