Skip to main content

আইসিটি বইয়ের বুলিয়ান আলজেব্রা আবিষ্কার সাল জটিলতা

 

এইচ এস সি আইসিটি বইয়ের বুলিয়ান আলজেব্রা আবিষ্কার সাল জটিলতা 

শুরুতেই জর্জ বুলি সম্পর্কে কিছু কথা 


জর্জ বুল (ইংরেজি: George Boole) (২রা নভেম্বর, ১৮১৫—৮ই ডিসেম্বর, ১৮৬৪) ছিলেন , একজন ব্রিটিশ গণিতবিদ ও দার্শনিক যাকে গাণিতিক যুক্তিবিজ্ঞানের (mathematical logic) জনকদের একজন হিসাবে গণ্য করা হয়। ১৮৫৪ সালে তার প্রধান কাজ Investigation of the Laws of Thought বের হয়। তিনি যে প্রকার প্রতীকী যুক্তিবিজ্ঞান নির্মাণ করেন, তার উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে বুলিয়ান বীজগণিতের গবেষণা শুরু হয়। বর্তমান সময়ের কম্পিউটিং এবং বীজগণিতে এই বুলিয়ান বীজগণিতের গুরুত্ব রয়েছে। বুল, ডি মরগান এবং অন্যান্যদের কাজ আধুনিক বিধিগত বীজগণিতের নির্মাণে সাহায্যকারী ভূমিকা রাখে।

প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান স্যারের বইয়ে লিখা আছে জর্জ বুলি সর্বপ্রথম ১৮৪৭ সালে বুলিয়ান আলজেব্রা নিয়ে আলোচনা করেন।(রেফেরেন্সঃ প্রথম প্রকাশনী- জুলাই,২০১৩ ইং পুনঃমুদ্রন জানুয়ারী ২০১৪ এর ১২৯ পৃষ্টায় আছে)

অক্ষর পত্র প্রকাশনীর বইয়ে আছে ১৮৫৪ সাল জর্জ বুলি প্রতীকী যুক্তি নামে এই বীজগণিত আলোচনা করেন। আবার বলা আছে এটি ১৮৩৯ সালের পূর্বে দর্শনের বিষয় ছিল।(রেফেরেন্সঃ অক্ষর পত্ররের , তয় সংস্করণ -  জুন২০১৬ইং এর ১৭৩ পৃষ্টায় আছে)

কেম্ব্রিয়ান পাব্লিকেশনের বইয়ে(গৌবিন্দ চন্দ্র রায়- ১০১ পৃষ্টায় ) লিখা আছে বুলি ১৮৫৪ সালে আবিষ্কার করেন যে গণিত যুক্তির মধ্যে সুস্পষ্ট সম্পর্ক রয়েছে।

আবার নতুন আইসিটি বোর্ড বইয়ে পরীক্ষামুলক সংস্করনে এসব সাল বাদ দেওয়া হয়েছে।


এবার আসি বিস্তারিত তথ্যে ,
মূলত জর্জ বুলি সারা জীবনের গবেষণায় বেশিরভাগ সময় দিয়েছেন বুলিয়ান আলজেব্রার পিছনে। তাহলে বলা যায় বুলিয়ান আলজেব্রার  একদিনে আবিষ্কার হয়নি। ১৮১৫ থেকে ১৮৬৪ এই পুরো সময় লেগেছিলো বুলিয়ান আলজেব্রা আবিষ্কারে। 

জর্জ বুলি তার প্রথম বইয়ে( The Mathematical Analysis of Logic -1847) সর্বপ্রথম এই বীজগণিত সম্পর্কে শুধুমাত্র ধারণা দেন। তরে বিস্তারিত কিছুই আলোচনা করেননি।

পরবর্তীতে 1854 সালে   An Investigation of the Laws of Thought  বইয়ে  ,বুলিয়ান আলজেব্রা  নিয়ে বিস্তারিত তথ্য যোগ করেন।  

বুলের গবেষণাকর্মের উপরে পরবর্তিতে উইলিয়াম স্ট্যানলি জেভন্স, অগাস্টাস দ্য মরগান, চার্লস পিয়ার্স, এবং উইলিয়াম আর্নস্ট জনসন কাজ করেছেন। বুলের গবেষণাকর্ম বহুদিন যাবত যুক্তিবিদরা ব্যতীত অন্যদের কাছে অপরিচিত ছিল। বুলীয় বীজগণিতের ব্যবহারিক কোনো প্রয়োগ বহুদিন যাবত অনাবিষ্কৃত ছিল। 

বুলের মৃত্যুর ৭০ বছর পরে ক্লদ শ্যানন ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান এ অধ্যয়নরত অবস্থায় দর্শন বিষয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে বুলিয়ান বীজগণিতের খোঁজ পান। 


ক্লদ এলউড শ্যানন (১৯১৬-২০০১)

পরবর্তীতে ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে পড়ার সময় শ্যানন তার মাস্টার্সের থিসিসে দেখান, কীভাবে বুলিয়ান বীজগণিতের মাধ্যমে টেলিফোন রাউটিং সুইচের তড়িৎ-যান্ত্রিক রিলেসমূহের নকশা সঠিকভাবে করা যায়। তিনি আরো দেখান, এধরনের বর্তনী দিয়ে বুলিয়ান বীজগণিতের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। তড়িৎ বর্তনী দিয়ে যুক্তিবিদ্যার গণনা হলো আধুনিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের মূল ভিত্তি।

বুলিয়ান উপপাদ্যঃ 



Thanks,
Raju Das
Assistant Programmer (Senior Officer), 
Karmasangsthan Bank
Ex Guest lecturer ICT ,  
PATIYA GOVT. COLLEGE 
Associate Member 
Bangladesh Computer Society
B.Sc (Engg.) in Computer Science & Engineering(CSE) , University of Chittagong.






Comments

Popular posts from this blog

stdio.h বা হেডার ফাইল কী এবং কেন? /conio.hকী? কেন? কখন?

প্রথমে stdio.h নিয়ে কিছু কথা,  stdio এর মানে হলো Standard input and output ।  এটি সি (C)এর একটি স্ট্যান্ডাড লাইব্রেরি যাতে ইনপুট ও অউটপুট ফাংশন গুলা বর্ণিত আছে।যেমন sacnf(),printf())। এই সকল ইনপুট ও অউটপুট ফাংশন প্রোগ্রামে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে প্রোগ্রামে এদের লাইব্রেরি হেডার ফাইলের নাম সংযোগ করতে হয়। যেমন , scanf(), printf() এই ফাংশন প্রোগ্রামে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে প্রোগ্রামর শুরুতে এদের লাইব্রেরি হেডার ফাইলের নাম stdio.h কে প্রসেসর ডিরাইভেটিভ # (হ্যাশ) দ্ধারা লিংক সেকশনে সংযোগ করতে হয় । stdio.h সংযোগ না করে scanf(), printf() ...ব্যবহার করলে প্রোগ্রামে error দেখাবে। তাই যেকোনো লাইব্রেরি ফাংশন ব্যবহার করলে তাদের হেডার ফাইলের নাম সংযোগ করতেই হবে। C programming এর আদি কম্পাইলার হচ্ছে "Turbo C". Borland সর্বপ্রথম ১৯৮৭ সালে পরিচয় করিয়ে দেন প্রথম সি প্রোগ্রামিং ভাষার Integrated Development Environment and compiler  "Turbo C".এর সাথে।    conio.h সি স্ট্যান্ডাড লাইব্রেরির কোন অংশ নয়। এটি একটি হেডার ফাইল ,যার মধ্যে getch(),clrscr() ...ইত্যাদি কিছু ফাংশন । clrscr(): এই ফাংশ

হ্যাকিং ও সাইবার আক্রমন

    হ্যাকিং ·          হ্যাকিং একটি প্রক্রিয়া যেখানে কেউ কোন বৈধ অনুমতি ছাড়া কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে । ·          যারা এ হ্যাকিং করে তারা হচ্ছে হ্যাকার ।   হ্যাকাররা সাধারনত এসব ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের ত্রুটি বের করে তা দিয়েই হ্যাক করে । ·          যে ব্যাক্তি হ্যাকিং practice করে তাকেই হ্যাকার বলে । ·          ফোন হ্যকার দের বলা হত Phreaker এবং এ প্রক্রিয়া কে বলা হয় Phreaking । ü   তিন প্রকারের হ্যকার রয়েছেঃ I.      White hat hacker II.     Grey hat hacker III.   Black hat hacker White hat hacker: White hat hacker   হ্যাকাররাই তার প্রমান করে যে হ্যাকিং খারাপ কাজ না । যেমন একজন white hat hacker   একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটি গুলো বের করে এবং ঐ সিকিউরিটি সিস্টেমের মালিকে ত্রুটি দ্রুত জানায় । সিকিউরিটি সিস্টেমটি হতে পারে একটি কম্পিউটার , একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কে্ ‌ একটি ওয়েব সাইট , একটি সফটওয়্যার ইত্যাদি । Grey hat hacker: Grey hat hacker হচ্ছে দু মুখো সাপ । এরা যখন একটি একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটি গুলো বের করে তখন সে